দুবাই আরব আমিরাতের একটি ব্যবসায়ী কেন্দ্র এবং উন্নত একটি শহর। বাংলাদেশ থেকে এখন অনেক মানুষ দুবাইয়ের বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়ার আগে ভিসা খরচ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে। কারণ বৈধভাবে পৌঁছাতে হলে প্রথমেই আপনাকে ভিসা করতে হবে।

আগের তুলনায় এখন ভিসা খরচ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন এজেন্সি এবং দালালের মাধ্যমে দুবাইয়ের ভিসা করতে ৩ লক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। কোন ভিসা কত টাকা খরচ হবে বিস্তারিত জানতে এ সম্পূর্ণ পোস্টটি ফলো করুন।

দুবাই ভিসা দাম কত

বর্তমান দুবাইয়ের কাজের ভিসার দাম ৬ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা। এবং উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য দুবাই এর স্টুডেন্ট ভিসার দাম ২ লক্ষ টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকা। এবং ভ্রমণ করার জন্য দুবাই টুরিস্ট ভিসার দাম ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা।

দুবাই টুরিস্ট ভিসা কত টাকা

জনপ্রিয় একটি ভিসা হল দুবাইয়ের টুরিস্ট ভিসা। এজেন্সির মাধ্যমে দুবাই টুরিস্ট ভিসা পেতে খরচ হবে ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৪ লক্ষ টাকা। অন্যান্য ভিসার তুলনায় সবচেয়ে কম খরচে দুবাইয়ের টুরিস্ট ভিসা পাওয়া যায়।  কম খরচে এবং অল্প দিনে দুবাইয়ের টুরিস্ট ভিসা পেতে অবশ্যই বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের অভিজ্ঞতার সনদপত্র প্রদান করতে হবে।

দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ

অন্যান্য ভিসার তুলনায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে খরচ বেশি হয়। পর পারমিট ভিসা পেতে অবশ্যই নির্দিষ্ট একটি কাজের স্কিল থাকতে হবে। বাংলাদেশের সরকারি অনুমোদিত কোন এজেন্সির সাহায্যে দুবাইয়ের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে খরচ হবে ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। এবং সরকারিভাবে দুবাইয়ের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে খরচ হবে ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।

দুবাই স্টুডেন্ট ভিসার দাম কত

বাংলাদেশের কিছু ছাত্রছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষা অর্জন করার জন্য দুবাইয়ে পড়তে যাচ্ছে। পড়ার উদ্দেশ্যে দুবাই যেতে চাইলে প্রথমেই স্টুডেন্ট ভিসা করতে হবে। বর্তমান স্টুডেন্ট ভিসার দাম ২ লক্ষ টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকা।

দুবাই যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে এখন দুবাই যাওয়ার খরচ কিছুটা বৃদ্ধি হয়েছে। কারণ অতি সহজেই দুবাইয়ের ভিসা পাওয়া যায় না। দুবাইয়ে বসবাসরত পরিচিতি কেউ থাকলে তাদের মাধ্যমে ছোট কম খরচে ভিসা পাওয়া যায়। কিন্তু এজেন্সি অথবা দালালের মাধ্যমে দুবাই যেতে একটু বেশি খরচ হয়।  এবং এজেন্সির মাধ্যমে দুবাই যেতে সর্বনিম্ন ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা লাগে।

দুবাই ভিসা কবে খুলবে

বর্তমানে দুবাইয়ের ভিসা চালু রয়েছে। এবং গত কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন দেশ থেকে কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ করে থাকেন। আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা থেকে শুরু করে স্টুডেন্ট ভিসা অথবা ভ্রমন করার জন্য টুরিস্ট ভিসা খুব সহজেই এজেন্সির মাধ্যমে করতে পারবেন। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে যেকোনো সময়েই হুট করে দুবাইয়ের ভিসা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

শেষ কথা

ভিসা ছাড়া কোনভাবেই বাংলাদেশ থেকে দুবাই পৌঁছানো সম্ভব না। এখন বিভিন্ন দালাল চক্র রয়েছে তারা সাধারণ গ্রাহকদের থেকে দুবাইয়ের ভিসা দেওয়ার নাম করে অনেক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এজন্য অবশ্যই সরকারি অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা আবেদন করা উচিত। আশা করি, এই পোস্ট থেকে দুবাই ভিসা দাম কত বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। ধন্যবাদ

আরও পড়ুনঃ

মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত ২০২৫


Leave a Reply